Tuesday, November 6, 2012

দাম্পত্য জীবনঃ----মুসলিম নারীদের শ্বশুরালয়ে বসবাস করার নিয়ম পদ্ধতি



এক সময় এমন এসেই যায়, যখন কিশোরী ছোট মেয়েটিকে নববধূর সাজে সাজতে হয়অনেক আদর সোহাগে লালিত কন্যাকে মাতা-পিতা অপরিচিত এক যুবকের হাতে অর্পণ করেন আদরের দুলালীস্বীয় মাতা-পিতা, ভাই-বোন হতে পৃথক হয়ে স্বামীর সাথে নতুন জীবন শুরু করেযেখানকার পরিবেশ পিত্রালয়ের পরিবেশ থেকেসম্পূর্ন ব্যতিক্রমধর্মী হয়ে থাকেসেখানে এ নববধুর বিভিন্নপ্রকার লোকদের বিভিন্ন প্রকার মেজাজের মানুষদের উঠা-বসা করতেহয়টক-মিষ্টি-ঝাল-তিক্ত ফেকাসে কড়া স্বভাবের আদম সন্তাদের সম্মখীন হতে হয়শাশুড়ী ও ননদের মন রক্ষা করা প্রাণ-প্রিয় জীবন সাথীর মান-অভিমান সামাল দেওয়া, সন্তানদের দেখাশুনা এবং গৃহের দায়িত্বের বিরাট বোঝা চেপে বসেএজন্য তাকে একজন আদর্শ মেয়ে, আদর্শ বোন, আদর্শ বধূ এবং আদর্শ মা হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতেহয়এটা মায়েরই কর্তব্যনিজ কন্যার উজ্ঝল ভবিষ্যতকে উজ্ঝলতর করার নিমিত্তে মাকে এইকাজটি করতে হয়
আদরের কন্যারা! নারীদেরকে শ্বশুরালয়ে অবস্থান করতেই হয়এটা নারীর জন্মের ভাগ্যের লিখনতাই খুব সতর্কতার সাথে মেহমান স্বরূপ অবস্থান করতে হবেএবং নিন্মেক্ত বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখতে হবে
১. লজ্জিত, অপমানিত ও ধিকৃত হতে হয় এমন কাজ কখনো করবে না
২. শ্বশুরালয়ে যখন যা ভাগ্যে জোটে, তা খেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে
৩. কোন জিনিষ অপছন্দ হলে অসন্তোস প্রকাশ করবে না
৪. শ্বাশুড়ীতে নিজ মা জননীর মত এবং শ্বশুরকে নিজ পিতার মত শ্রদ্ধা করবে
৫. ননদদেরকে আপন ভগ্নীর চেয়েও বেশী আদর করবেতারাও একদিন তোমার মত পিত্রালয় ছেড়ে পরের ঘরে চলে যাবেতাই তাদের মনে দুঃখ দিও না
৬. প্রত্যেক ব্যাপারে তাদের সাথে পরামর্শ করএমন কথা বলবে না বা কাজ করবে না , যাতে তাদের অন্তরে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি হয়
৭. পিত্রালয় থেকে কিছু এলে তা গোপন করে রাখবে নাতবে একান্ত গোপনীয় বিষয় হলে ভিন্ন কথা
৮. শাশুড়ী বা ননদদের থেকে গৃহেরকাজ কর্মের দায়িত্ব বুঝে নিবে
৯. কি কি রান্না করতে হয়? কিভাবে বন্টন করতে হয়? পানাহারের নিয়ম পদ্ধতি কি? মেহমানদের সাথে আদর-আপ্যায়নের ব্যবস্থা এ বাড়ীতে কেমন ধরনের হয়? এ সব কিছু গুরত্বের সাথে পর্যবেক্ষন, নিরীক্ষন ও লক্ষ্য করবে
১০. শরীয়ত পরীপন্থী কুপ্রথা সমুহে কোন প্রকার সহযোগিতা করবে নাপ্রকাশ্য বিরোধীতা ও করবে না বরং ধীরে ধীরে ভালবাসা, নম্রতা-ভদ্রতা দ্বারাআলোচনার মাধ্যমে বুঝাতে থাকবে ১১. অবসর সময়ে স্বামীর গৃহের এবং প্রতিবেশী মুসলমান মেয়েদেরনিয়ে একত্রিত হয়ে বসে নিজের জানা মাসয়ালা-মাসায়েল ও দ্বীনের আলোচনা করবে
১২. আদব ইলম এ প্রজ্ঞাভরা কথায় তোমার মন ভরে যাবে এবং তাদের ও অজানা অনেক কিছু জানা হয়ে যাবে
১৩. তোমার ভাই-বোন বেড়াতে এলে আনন্দচিত্তে তাদের স্বাগত জানাওতাদের আদর আপ্যায়নে কৃপনতা করবে নাফিরে যাওয়ার সময় কিছু উপহার সামগ্রী সঙ্গে দিয়ে দিও
১৪. পিত্রালয় থেকে আগমনকারী কারো সাথে কানাকানি করবে না
১৫. আশে-পাশের থেকে আগত সাক্ষাতকারীদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে
১৬. ছোট-ছোট মেয়েদেরকে জরুরী মাসয়ালা-মাসায়েল শিক্ষা দিবেদ্বীনের আলোচনা করবেবড় হওয়ারপর এরা সকলেই তোমাকে সম্মান করবে
১৭. শ্বাশুড়ী ও ননদদের প্রতি লক্ষ্য রাখবেতোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে আদবের সাথে উত্তরদিবেসময় পেলে তাদের কাজ করে দিবে
১৮. বাড়ীতে কাউকে দাওয়াত করলে কাজ কর্মে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে
১৯. স্বামীর ভাই-বোনদেরকে সম্মান প্রদর্শন ও তাদের সন্তান-সন্ততিকে আদর সোহাগ করবে
২০. শিশুদের পারস্পরিক ঝগড়া-বিবাদ হলে কোন পক্ষপাতিত্ব করবে নাএতে এক মা সন্তুষ্ট এবং অন্য মা অসন্তুষ্ট হবে নিঃসন্দেহে
২১. শ্বশুরালয়ের কোন কথা প্রতিবেশী বা পিত্রালয়ের কারো নিকট প্রকাশ করবে না
২২. অন্য কারো নিকট থেকেও শ্বশুরালয়ের নিন্দা শ্রবণ করবেনাবরং পরিস্কার ভাষায় বলে দিবে যে, বোন! আজকের পরে আমার সম্মুখে আর কোন দিন এমন কথা বলবে না
২৩. পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক ঝগড়ায় কোন পক্ষপাতিত্ব বা অংশগ্রহন করবে না
২৪. স্বামীর ধন-সম্পদ রক্ষা করবেস্বামীর অনুমতি ছাড়া কখনো বাইরে যাবে নাঅবশ্যই পর্দা প্রথা মেনে চলবে
২৫. নিয়মিত নামায পড়বে ও কোরআন তেলোয়াত করবে এবং স্বামীকে ও পালন করতে উৎসাহ দিবেস্বামীকে হালাল উপার্জন করতে বলবে
মোট কথা, একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের আদর্শ মেয়ে, বধু বা মা রূপে যা কিছু শোভা পায়, সেভাবে জীবন যাপন করবে এবংনিজের চাল-চলন, আচার-আচরণ ব্যবহার এমন অমায়িক রাখবে যে, পরিবারের সকলের মন জয় করে নিতে পারসকলেই যেন তোমার দেওয়ানা হয়ে যায়
================= ===================

দাম্পত্য জীবনঃ-----প্লিজ আমাকে বোরকা পরতে বাধ্য করবে না

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরীজীবিস্বামী একটি কলেজেরপ্রভাষকআর স্ত্রী একটি ব্যাংকের অফিসারস্ত্রী বিয়েরআগে বোরকা পরত নাতাদের পরিবারে ও কেউ বোরকা পরত নাবিয়ের পর স্বামীর কাছ থেকে ইসলামের বিভিন্ন মাসআলা শিখার পর স্ত্রী বোরকা পরে অফিসে যায়এবং পরিবারের অন্যরা ও বোরকা পরে বাইরে যায় ইসলামী বিধান মোতাবেক তাদের সাংসারিক জীবন চলতে থাকে
আজ বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষযে দেশের ৮৫ ভাগের ও বেশী মুসলমান, হঠাৎ করে একটি আইন হলো বোরকা পরতে কাউকে বাধ্য করা যাবে নাবাধ্য করলে জেল-জরিমানা হবেকি কি শাস্তি হবে সেই ব্যাপারে আগামীতে দিক নির্দেশনা আসবেএতদিন মহিলারা স্বামীর অনুরোধেবা পিতা-মাতার অনুরোধে বোরকা পরতকিন্তু এখন আর তাদেরকে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে নাবোরকা পরতে আদেশ দিতে পারবে নাআল্লাহ তায়ালা নির্দেশ অনুযায়ী মহিলারা চলতে পারবে নাযেমন-খুশী তেমন করে সাজতে পারবেকেউ বাধা দিতে পারবেনাযে দেশে রাষ্ট্র প্রধান নারী যিনি প্রতিবছর হজ্জ করে থাকেন তিনি কিভাবে এই আদেশ দিলেন একমাত্র আল্লাহই জানেনকাদেরকে খুশী করার জন্য এই আইনটি করা হয়েছে? এখন যদি বাংলাদেশের প্রতিটি মুসলিম পরিবারে শিরোনামের মত
" প্লিজ আমাকে বোরকা পরতে বাধ্য করবে না.." এই শব্দটি উচ্চারিত হয় তখন প্রধানমন্ত্রীআর বিরোধী নেত্রীর কেমন লাগবে?জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইল
হিজাব কি?
হিজাব অর্থ হলো ছতরের ঢাকনা, বোরকা বা শরীরের আচ্ছাদন
পর্দা সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুলআলামীন তার প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে সুরা আহযাবের ৫৯ আয়াতে এরশাদ করেছেনঃ
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগনকে,কন্যাগনকে ও মুমিন মহিলাগনকে বলে দিন, তারা যেন উপর দিক থেকে (নিজেদের মুখমন্ডল ও বক্ষদেশেরউপর) নিজেদের চাদরের আচঁল ঝুলিয়ে দেয়, এতে তাদের চেনা সহজতর হবেফলে তাদের উত্যক্ত করা হবেনা আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু
(আল-কোরআন, সুরা আযহাব, ৩৩ঃ আয়াত ৫৯)
আল্লাহ তায়ালা আল-কোরআনে আরো এরশাদ করেছেনঃ বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না তারা যদি নিজেদের চাদর খুলে রাখে, তাহলে তাদের কোন (অপরাধ) গুনাহ হবে নাতবে শর্ত হলো, তারা স্বীয় রূপ-সৌন্দর্যের প্রদশনকারিনী হিসেবে তা খুলতে পারবেনাতবে এ থেকে বিরত থাকাই উত্তমআর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (সুরা নূর, ২৪, আয়াত ৬০)মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আল-কোরআনে ঘোষণা করেছেন-"(হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি) ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলেইহাই তাদরে জন্য পবিত্রতম পন্থানিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে, আল্লাহ পাক তা জানেন এবং মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাযত করে, তার যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য, বেশ-ভূষা ও অলংকারাদী প্রকাশ না করে এবং তারা যেন তাদের মাথায় ওড়না বক্ষদেশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখেআর তারা যেন স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের পুত্র, বোনের পুত্র, স্ত্রীলো , অধিকারভুক্ত বাদী, য়ৌন কামনামুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের গুপ্তাঙ্গ সর্ম্পকে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো নিকট তাদের সাজ-সজ্জা, পোশাক প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য (রাস্তা-ঘাটে) জোরে পদচারণা না করে, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দরবারে তওবা কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা-নূর, আয়াত-৩০-৩১)
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন-"জাহিলিয়াতের যুগের যে ধরনের সাজ-সজ্জা ও ঠাট-ঠমক করা হত এখন তা কর না।" (সূরা-আহযাব, আয়াত-৩৩)
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন-"যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বাক্যালাপ করো না, কারণ তাতে অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে কু-বাসনা করে।" (সূরা-আহযাব, আয়াত-৩২)
পবিত্র আল-কোরআনের আলোকে নারী-পুরুষদের পর্দার আবশ্যকিয়তা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা উপরের লিখিত আল্লাহর বানীতেই প্রমাণিত
পর্দা সম্পর্কে প্রিয় নবী হযরতমহাম্মদ (স.) এর বানীঃ
==========================================
একবার উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ)রাসুল (সাঃ)কে প্রশ্ন করেছিলেন, মেয়েরা নিজেদের কাপড়কে (পোষাক বা বোরকা) কতটুকু নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিবে?
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তারা স্বীয় পদতালুর সামনে অথ্যাৎ গোড়ালীর নিচে রেখে কাপড় পরবেউম্মুল মুমিনীন পুনঃ প্রশ্ন করলেন যে, যখন তারা লম্বা কদমে হাটবে? (তখন কাপড় তো উঠে যাবে, সে সময় কি করবে?) উত্তরে রাসুল (সাঃ) বললেন, তারা কখনও এক হাতের বেশী লম্বা কদমে হাটতে না। (বুখারী ও মুসলিম)
কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ অস্বীকার বা অমান্য করলে কিংবাপর্দা মেনে না চলার পরিণাম কী?
=============================================আল্লাহ পাক বলেন-"যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর মিথ্যা বলে এবং তার নিকট সত্য পৌঁছার পর তাকে (সত্যকে) মিথ্যা সাব্যস্ত করে তার চেয়ে অধিক অত্যাচারী আর কে হতে পারে? কাফেরদের বাসস্থান জাহান্নামে নয় কি?" (সূরা-যুমার, আয়াত-৩২)
"যারা কিতাবরে কিছু অংশ মান্য করে আর কিছু অংশ মেনে চলে না তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্চণা-গঞ্চণা, অপমান আর পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি।" (সূরা-মায়েদা)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিম নারীর পোষাকঃ
বাংলাদেশী মুসলিম নারী...
মিশরের মুসলিম নারী...
সিরিয়ার মুসলিম নারী...
ইন্দোশিয়ান মুসলিম নারী...
মালয়েশিয়ান মুসলিম নারী..
ওমানের মুসলিম নারী...
ভ্রমনরত মুসলিম নারী...
আরব আমিরাতের মুসলিম নারী..
চীনের মুসলিম নারী...
অফিসে মুসলিম নারী..
================== ===============

দাম্পত্য জীবনঃ----বউয়েরমুখ থেকে স্বামীকে তিনটি কমন বাক্য শুনতে হয়

১. তোমার সংসারে আমি কি পেলাম......................................?
২. আমি বলে তোমার সংসার করছি অন্য কেউ হলে.................?
৩. আমি আর এই সংসারে থাকব না......................................?
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হয়েই থাকেউত্তেজনা বা রাগের মূহুত্বে স্ত্রীরা উপরোক্ত কথা গুলো স্বামীদেরকে শুনিয়ে থাকেআমি দেখেছি বেশীর স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে বেশী কিছু আশা করে থাকেস্বামীদের পকেট খালি করতে পারলেই বউরা খুশী হয়তারা বুঝতে চাইনা যে স্বামীকে কত কষ্ট করে সংসার চালাতে হয় কত কষ্ট করে উপার্জন করতে হয়স্বামীরা কত কষ্ট করে তাদেরকে স্ত্রীদের সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করে আর স্ত্রীরা শুধুমাত্র পাশের বাসার ভাবী কি কিনছে কি করছে তাই দেখে থাকেনিজের স্বামীর উপার্জন ক্ষমতার দিকে খেয়াল নাকরে নানান রকম আবদার করে থাকেএকসময় স্বামীর সাথে তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি হয়অনেক সময় স্বামী স্ত্রীকে মারধর ও করে থাকেআবার লোভী স্ত্রীরা আরেকজনের হাত ধরে পালিয়ে যেতেওদ্বিধাবোধ করে নাআমার তো মনে হয় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অনেক গভীর, দুজন শুধুই দুজনারআমৃত্যু একি ছাদের নীচে দুজনকেবসবাস করতে হয়যা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা বিশেষ রহমতের কারনেই হয়ে থাকেসংসারে অভাব-অনটন, ভূল-বুঝাবুঝি থাকবেইতবে স্ত্রীদেরকে স্বামীর সৎ উপার্জনের উপর সন্তুষ্ট থাকতে হবেস্বামীকে অসৎ উপায়ে উপার্জন করতে নিষেধ করতে হবেসব সময় সৎ থাকতে উৎসাহিত করতে হবেনামায পড়তে বলবে সিগারেট খেতে নিষেধ করবেঅন্য কোন নারীর ছলনা থেকে দুরে থাকতে বলবে এটাইতো একজন সৎ স্ত্রীর গুনাবলী হওয়া উচিৎ নয়কি?
******************************************************************************
নারীরা অধিকহারে জাহান্নামে যাবে কেন?
হাদীসে এসেছে-
উসামা ইবনে যায়েদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমি জান্নাতেরগেটে দাড়ালাম, দেখলাম যারা তাতেপ্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশ ছিলদুনিয়াতে দরিদ্র অসহায়আর ধনীও প্রভাবশালীদের আটকে দেয়া হয়েছেতবে তাদের মধ্যে যাদের জাহান্নামে যাওয়ার ফয়সালা হয়ে গেছে তাদের কথা আলাদাআর আমি জাহান্নামের প্রবেশ পথে দাড়ালামদেখলাম, যারা প্রবেশ করছে তাদের অধিকাংশ নারী। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)
কেন নারীরা পুরুষদের তুলনায় অধিকহারে জাহান্নামে যাবে?
অন্য একটি হাদীসে এ সম্পর্কে এসেছে-আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : হে নারীগণ! তোমরা দান-সদাক করোবেশী বেশী করে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করোকেননা আমি জাহান্নামে তোমাদের অধিকহারে দেখেছি এ কথা শোনার পর উপস্থিত মহিলাদের মধ্য থেকে একজন -যার নাম ছিল জাযলা- প্রশ্ন করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কেন এ অবস্থা? কেন জাহান্নামে আমরা বেশী সংখ্যায় যাবো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তোমরা স্বামীর প্রতি বেশী অকৃতজ্ঞ ও অভিশাপ দাও বেশী। (বর্ণনায় : মুসলিম)
বলতে খারাপ শুনালেও আসলে আমাদের সমাজের নারীদের বাস্তব চিত্র এ রকমই যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনআমি দাম্পত্য জীবনে অনেক সুখী নারীকে দেখেছিতারা স্বামীর প্রতি অনেক সময় চরম অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে অনেক সময় সামান্য বিরক্তহলে নিজ সন্তানদেরও অভিশাপ দেয়নারীদের জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য এ দুটো স্বভাব পরিহার করতে হবে অবশ্যইআর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বলার উদ্দেশ্য এটাইতিনি নারীদের স্বভাব সংশোধন করার জন্যই এ কথা বলেছেননারীদের খাটো করা বা তাদের ভূমিকা অবমুল্যায়নের জন্য বলেননি
==================== =====================

No comments:

Post a Comment