দিনগুলো সুখে কাটবে—এমন আশাতেই ঘর বাঁধে নর-নারী। কিন্তু সেই প্রত্যাশা বা স্বপ্ন সব সময় পূরণ হয় না। প্রাণোচ্ছল,
উচ্ছ্বাসে ভরা দিনগুলো দুজনের কাছেই একসময় হয়ে পড়ে একঘেয়ে, অবসন্ন, নীরস। সবকিছুই পুরোনো মনে হয়। হয়তো দুজনেরই হারিয়ে যাওয়া সেসব দিনকে আবার রঙিন করে
তুলতে, হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোকে ফিরে পেতে ইচ্ছা করে সবার। নানা কাজের চাপে
হয়ে ওঠে না।
জীবনটা প্রাণোচ্ছল রাখতে খুব বেশি উদ্যোগের দরকার নেই। একটুমনে রাখা, একটু চেষ্টাতেই জীবনটা হয়ে উঠতে পারে বর্ণিল। যারা আগ্রহী, তারা এবার একটু নড়েচড়ে বসুন। প্রথমেই যা মনে রাখতে হবে, তা হলো প্রেমের কোনোবয়স নেই। বরং যতই বয়স বাড়বে, প্রেমের বন্ধন ততই দৃঢ় হবে। আর এই প্রেমের প্রকাশ ঘটাতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। সঙ্গীবা সঙ্গিনীর হাতে একটু হাত রাখা, হালকা স্পর্শ, জড়িয়ে ধরা ব্যস—এতেই পরস্পর অনুভব করতে পারেন হারিয়ে যাওয়া প্রেমের অনুভূতি।
মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে পড়তে পারেন ছুটিতে। শুধু দুজনে। এতে করে একে অপরের কাছাকাছি আসবেন। না বলা অনেক কথা হয়তো বলা যাবে। মনে পড়বে বিয়ের শুরুর প্রেম। সম্পর্ক হয়ে উঠবে সজীব। আর সম্পর্ক সজীব রাখতে হলে একসঙ্গে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। সংসার মানেই ভাগাভাগি। স্বামী, স্ত্রী একসঙ্গে রান্না করতে পারেন, ঘর গুছাতে পারেন, ঘর পরিষ্কার করতে পারেন। এমনকিসঙ্গী বা সঙ্গিনীর পছন্দের খাবারও রান্না করতে পারেন একসঙ্গে। মাঝেমধ্যে ঘরেই আয়োজনকরতে পারেন ছোটখাটো অনুষ্ঠানের। স্বামী, স্ত্রী দুজনেরই বন্ধুস্থানীয় কয়েকজনকে ডাকতে পারেন। কাছের স্বজনদেরও ডাকতে পারেন। সময় কাটাতে পারেন একসঙ্গে।
সঙ্গীকে কখনো কখনো দিন উপহার। সেটি হতে পারে একগুচ্ছ ফুল অথবা ছোট্ট একটা চিরকুট। কিন্তু এতেই প্রকাশ পাবে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রশংসা করতে হবে মন খুলে। যত ছোট ব্যাপারই হোক, প্রশংসা করুন।
সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় হয়তোআপনি ভীষণ ক্লান্ত। কিছুটা বিরক্তও। তবু মুখে একটু হাসি রাখার চেষ্টা করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে সবকিছুই অনেক হালকা মনে হবে।
একে অপরকে সময় দিন। অন্তত যেকোনো এক বেলার খাবার একসঙ্গেখান। এতে করে একে অপরের সঙ্গে চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিতে পারবেন সহজেই।
সবচেয়ে যা জরুরি, তা হলো ভুলেও কারও সঙ্গে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর তুলনা করবেন না। মনে রাখবেন, প্রত্যেক মানুষই তার নিজের মতো। কাজেই সঙ্গী যেমনই হোক, তাকে তার মতো করেই ভালোবাসুন।ছোটখাটো এসব বিষয় মাথায় রাখলেইজীবনটা হয়ে উঠতে পারে আরও সুন্দর। ছোট্ট নীড় হয়ে উঠতে পারে সত্যিই শান্তির। প্রাণখুলে গেয়ে উঠতে পারেন, ‘নীড় ছোট ক্ষতি নেই, আকাশ তো বড়।’
জীবনটা প্রাণোচ্ছল রাখতে খুব বেশি উদ্যোগের দরকার নেই। একটুমনে রাখা, একটু চেষ্টাতেই জীবনটা হয়ে উঠতে পারে বর্ণিল। যারা আগ্রহী, তারা এবার একটু নড়েচড়ে বসুন। প্রথমেই যা মনে রাখতে হবে, তা হলো প্রেমের কোনোবয়স নেই। বরং যতই বয়স বাড়বে, প্রেমের বন্ধন ততই দৃঢ় হবে। আর এই প্রেমের প্রকাশ ঘটাতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। সঙ্গীবা সঙ্গিনীর হাতে একটু হাত রাখা, হালকা স্পর্শ, জড়িয়ে ধরা ব্যস—এতেই পরস্পর অনুভব করতে পারেন হারিয়ে যাওয়া প্রেমের অনুভূতি।
মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে পড়তে পারেন ছুটিতে। শুধু দুজনে। এতে করে একে অপরের কাছাকাছি আসবেন। না বলা অনেক কথা হয়তো বলা যাবে। মনে পড়বে বিয়ের শুরুর প্রেম। সম্পর্ক হয়ে উঠবে সজীব। আর সম্পর্ক সজীব রাখতে হলে একসঙ্গে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। সংসার মানেই ভাগাভাগি। স্বামী, স্ত্রী একসঙ্গে রান্না করতে পারেন, ঘর গুছাতে পারেন, ঘর পরিষ্কার করতে পারেন। এমনকিসঙ্গী বা সঙ্গিনীর পছন্দের খাবারও রান্না করতে পারেন একসঙ্গে। মাঝেমধ্যে ঘরেই আয়োজনকরতে পারেন ছোটখাটো অনুষ্ঠানের। স্বামী, স্ত্রী দুজনেরই বন্ধুস্থানীয় কয়েকজনকে ডাকতে পারেন। কাছের স্বজনদেরও ডাকতে পারেন। সময় কাটাতে পারেন একসঙ্গে।
সঙ্গীকে কখনো কখনো দিন উপহার। সেটি হতে পারে একগুচ্ছ ফুল অথবা ছোট্ট একটা চিরকুট। কিন্তু এতেই প্রকাশ পাবে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রশংসা করতে হবে মন খুলে। যত ছোট ব্যাপারই হোক, প্রশংসা করুন।
সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় হয়তোআপনি ভীষণ ক্লান্ত। কিছুটা বিরক্তও। তবু মুখে একটু হাসি রাখার চেষ্টা করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে সবকিছুই অনেক হালকা মনে হবে।
একে অপরকে সময় দিন। অন্তত যেকোনো এক বেলার খাবার একসঙ্গেখান। এতে করে একে অপরের সঙ্গে চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিতে পারবেন সহজেই।
সবচেয়ে যা জরুরি, তা হলো ভুলেও কারও সঙ্গে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর তুলনা করবেন না। মনে রাখবেন, প্রত্যেক মানুষই তার নিজের মতো। কাজেই সঙ্গী যেমনই হোক, তাকে তার মতো করেই ভালোবাসুন।ছোটখাটো এসব বিষয় মাথায় রাখলেইজীবনটা হয়ে উঠতে পারে আরও সুন্দর। ছোট্ট নীড় হয়ে উঠতে পারে সত্যিই শান্তির। প্রাণখুলে গেয়ে উঠতে পারেন, ‘নীড় ছোট ক্ষতি নেই, আকাশ তো বড়।’
দাম্পত্য জীবনঃ----হে বাংলার বউরা..... তোমাদেরকে বলছি.
১. একটি সংসারকে গতিশীল রাখতে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অবদান কম নয় বরং অনেক বেশী।২. পিতা সংসারের ব্যয়ভার বহন করেন, কিন্ত মাকে সংসারের যাবতীয় কাজের পাশাপাশি সন্তানকে স্কুলে, প্রাইভেট স্যারের বাসায় আনা-নেয়া থেকে শুরু করে সন্তানের অসুস্থতায় বিনিদ্র রজনীও হাসিমুখে পার করতে হয়।
৩. কোন ও কিছুতেই যেন মায়ের ক্লান্তি নেই। শত অভাবে ও সব সময় সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ও তাদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যস্ত থাকেন।
৪. সবচেয়ে ভালো জিনিষটি সন্তানের মুখে তুলে দিতে পারলেমায়ের মুখে তৃপ্তির হাসিরেখা ফুটে উঠে।
৫. স্বপ্ন দেখতে থাকেন তার সন্তান বড় হবে, ভালো রোজগার করবে, সংসারে আরো সুখ শান্তি আসবে।
৬. তারপর একদিন ঘর আলো করা বউ আসবে, বৃদ্ধ বয়সে ছেলে-ব্উয়ের সেবা-যত্নে বাকী জীবনটা পরম সুখে কাটিয়ে দেবেন।
কিন্তু..................................
৭. বাস্তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার চিত্র হয় উল্টো। বউ ঘরে আসার পর পাল্টাতে থাকে ছেলে, পাল্টায় ঘরের পরিবেশ। বাবা-মা, ছোট ভাই-বোন সব যেন পর হতে থাকে। অবশ্য এর ব্যতিক্রম ও আছে।
তবে বেশীর ভাগ চিত্রটা কিন্ত এমন।
৮. ছেলে বাবা-মাকে সঙ্গ দিক, তাদের প্রতি আগের মত টান থাকুক,তা সহ্য করতে পারে না বেশীর ভাগবউ।
৯. তারা মনে করেন, স্বামীটি তার নিজস্ব সম্পতি, তার উপর বাবা-মা, ছোট ভাই-বোন কারও কোনওঅধিকার নেই।
১০. বউয়ের সঙ্গে দ্বন্দ মিটাতে বাবা-মা, ভাইবোনদের কাছ থেকে দুরে চলে যান ছেলে।
১১. নিজের বাবা-মাকে বাদ দিয়ে ছেলে শ্বশুর-শাশুড়ী,শ্যালক-শালিকা নিয়ে মেতে থাকে। আর মায়ের অনেক কষ্টের সংসারে আস্তে আস্তে তার অধিকার কমতে থাকে।
১২. ভাইকে পড়াশোনা করানোর জন্য মা'র সঙ্গে যে বোনেরা সংসারে শ্রম দিয়েছে--ভাইয়ের ঘর ঘোছানো, কাপড় ধোয়া আর ও কতভাবে সেবা করেছে যে বোনেরা, স্বপ্ন দেখত ভাই লেখাপড়া শেষ করে ভালো চাকরী করে বোনদের আবদার মিটাবে,সেই আদরের ভাই হারিয়ে যায় চোখের সামনে থেকেও।
১৩. বাবা-মা, ভাই-বোনকে বাড়তি ঝামলো মনে করেন বউ-ছেলে।
১৪. একসময় বৃদ্ধ বয়সে একা হয়ে যান বাবা-মা। অনেকে বয়সের ভারে,আর নানা রোগব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যান। এই সময় তাদের প্রয়োজন একটু ভালবাসা, একটু মমতা, প্রিয়জনের একটু সঙ্গ।
১৫. এ সময় অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে হোমে পাঠানো হয়, কারন বউরা চান না এ ঝামেলা ঘরে রাখতে।
১৬. হোমে নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্ব তাদের সঙ্গী হয়। প্রিয়জনকে একটু দেখার, তাদের ছোঁয়া পাওয়ারজন্য তারা ব্যাকুল হয়ে উঠেন
তাদের এ আকুলতা আমরা কি বুঝতে পারিনা? তাই হে বাংলার বউমাদের বলছি, আজসে যে সংসার, যে মানুষকে নিয়ে জীবন উপভোগ করছ,তার যারা কারিগরতাদের অবহেলা করোনা। তোমার বাবা-মাকে যতখানি ভালবাস তাদেরপ্রতিও ঠিক ততখানি ভালবাসা প্রাপ্য। তোমার সন্তানের জন্য তুমি যে কষ্ট করছ, তোমার শাশুড়ীও তোমার স্বামীর জন্য একই কষ্ট করেছেন। তাই বলছি শেষ বয়সে তাদের অবহেলা না করে একটু ভালবাস।
সুত্রঃ
যুগান্তর থেকে-----------------
ReplyDeleteখুব কাজের টপিক। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ।আপনার এই পোস্ট অনেক উপকারে আসবে আমার বিশ্বাস । এর আগেও একটা নিউজ পেয়েছিলা এই নিউজ ও অনেক উপকারী। যার দরকার হবে দেখতে পারেন। তবে আপানার এটা বাশি ভাল হইছে তাই আবারো লেখককে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। তবে এরকম আরো একটি লেখা পড়েছিলাম এখানে> http://muktomoncho.com/archives/1593