Tuesday, November 6, 2012

জন্ম নিয়ন্ত্রণ


ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের সেকাল

বহু আগে থেকেই পৃথিবীতে এমন কিছু ধর্মীয় গ্রুপ আছে যারা পরিবার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারা জীবন দৈহিক মেলামেশা থেকে বিরত থাকেনসবার পক্ষে তো আরএমন সাধক হওয়া সম্ভব নয়তাছাড়া জৈবিক প্রয়োজন, বংশগতি রক্ষায় দৈহিক মেলামেশার বিকল্প নেইতবে জন্মকে নিয়ন্ত্রণের জন্য অতি প্রাচীনকাল থেকে মানুষ সচেতন ছিলখ্রিস্টপূর্ব ১৮৫০ সালে প্রাচীন ইজিপশিয়ানরা জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য কুমিরের মল এবং ময়দা দিয়েতৈরি এক ধরনের মিশ্রণ ব্যবহার করতএ মিশ্রণ মহিলাদের যোনিপথে স্থাপন করা হতোধারণা করা হয়, এ মিশ্রণ যোনিপথে শুক্রাণুর জন্যতৈরি পরিবেশ তৈরি করেএছাড়া শুক্রাণু ধ্বংসকারী হিসেবে গাম, মধু, বাবলার নির্যাস ইত্যাদি ব্যবহার করা হতো
দ্বিতীয় শতাব্দীর দিকে রোমে ফলমূল, বাদাম ইত্যাদি দিয়ে একটি এসিডিক মিশ্রণ তৈরি করা হতোএ মিশ্রণ জরায়ুমুখে স্থাপন করা হতো, যা প্রবিষ্ট শুক্রাণুকে ধ্বংস করে দিত


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন



ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের আধুনিক পদ্ধতি

জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের বিকল্প নেইযুগের হাত ধরে বর্তমানে তাই ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের একাধিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, ব্যবহারবিধি, ঝুঁকি, মূল্য ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে বেছে নিতেপারেন এর যে কোনো একটি পদ্ধতি
আধুনিক আচরণগত পদ্ধতি
পূর্ণাঙ্গ দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকা এ পদ্ধতিরঅন্তর্গতআগেই উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু ধর্মীয় গ্রুপ এ পদ্ধতি ব্যবহার করলেও বাস্তবতার নিরিখে এটা প্রায় অসম্ভবতবে নিয়ন্ত্রিত দৈহিক মিলন এ ক্ষেত্রে একটি চমকপ্রদ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারেএ পদ্ধতিতে বীর্যপাত হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে যোনিপথ থেকে পুরুষাঙ্গ সরিয়ে নেয়াএতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন হয় নাফলে গর্ভ সঞ্চারের কোনো সুযোগও থাকে নাএ পদ্ধতিতে কোনো খরচ কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকলেও এর প্রধান সমস্যা হলো ১৯ ভাগ ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অকার্যকরঅর্থাৎএ ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের ঝুঁকি অনেক বেশিতাছাড়া এ পদ্ধতিতে যৌনবাহিত রোগও প্রতিরোধ করা যায় না


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন

 
 

প্রাকৃতিক ফ্যামিলি প্ল্যানিং

ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফ্যামিলি প্ল্যানিং করা বেশ সুবিধাজনক তিনভাবে ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিং করা যায়তার মধ্যে সেফ পিরিয়ড গণনা করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কাপলের জন্য বেশ আকর্ষণীয় মনে হতে পারে এপদ্ধতিতে মহিলাদের পিরিয়ডের নিরাপদ সময় গণনা করা হয়
সাধারণত মাসিক শুরু হওয়ার আগের নয়দিন, মাসিকের দিনগুলো এবং মাসিক পরবর্তী চারদিন নিরাপদ সময়ের অন্তর্গতএ সময়ে দৈহিক মিলন হলেও গর্ভপাত সঞ্চারণের কোনো ঝুঁকি থাকে নাউল্লেখ্য, পিরিয়ডের সময় দৈহিক মিলন ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তাছাড়া বৈজ্ঞানিক দিক থেকেও এটা গ্রহণযোগ্য নয়সে কারণে মাসিক শুরুরআগের নয়দিন এবং মাসিক পরবর্তী চারদিনেই সেফ পিরিয়ড বা নিরাপদ সময় হিসেবে গণ্য করতে হবেঅঙ্কের হিসেবেও নিরাপদ সময় বের করা যায়ধরুন ২৮দিন পরপর আপনার নিয়মিত মাসিক হয়২৮ থেকে প্রথমে১৮ এবং পরে ১০ বাদ দিন (২৮-১৮=১০ এবং ২৮-১০=১৮)অর্থাৎ মাসিকশুরু হওয়ার দিন থেকে নবম দিন পর্যন্ত আপনি নিরাপদ,দশম দিন থেকে ১৮তম দিন পর্যন্ত আপনি ঝুঁকিপূর্ণএবং আবার ১৯তম দিন থেকে ২৮তম দিন পর্যন্ত আপনি নিরাপদঅনেকের অনিয়মিত মাসিক হয়ধরুন কোনো মাসে ৪৫ দিন পর এবং অন্য মাসে ২৬ দিন পর হয়সে ক্ষেত্রে ৪৫ থেকে ১০ বাদ দিন (৪৫-১০=৩৫) এবং ২৬ থেকে ১৮ বাদ দিন (২৬-১৮=৮) অর্থাৎ মাসিক চক্রের অষ্টম দিন থেকে ৩৫তম দিন পর্যন্ত আপনি ঝঁকির মধ্যে থাকবেনবাকি সময় মোটামুটি নিরাপদ
ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে মহিলাদের দৈহিক তাপমাত্রা মেপে নিরাপদ সময় বের করাএ ক্ষেত্রে ভোরবেলা বিছানা ত্যাগের আগ মুহূর্তে মহিলাদের দৈহিকতাপমাত্রা (দথঢ়থল দসনী য়পশহপড়থয়ৎড়প) রেকর্ড করাহয়মাসিক চক্রের প্রথমার্ধে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকেপরে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়তে থাকেতাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ০.২ থেকে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারেডিম্বাণু পরিস্ফুটনের সময় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পায়এ সময়টা খুবইঝুঁকিপূর্ণসর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধির তিনদিন পর আবার দৈহিক মিলন শুরু করতে পারেন
ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের সর্বশেষ পদ্ধতি হচ্ছে জরায়ু মুখের মিউকাস পরীক্ষা করে ঝুঁকিপূর্ণ সময় বের করাএ পদ্ধতিতে একজন মহিলা আঙুলের সাহায্যে তার জরায়ু মুখের মিউকাস বা নিঃসৃত রস পরীক্ষা করবেইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে মিউকাসের পরিমাণ ও ঘনত্ব বাড়তে থাকেসর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছানোর পর আস্তে আস্তে মিউকাসের প্রজেস্টেরন হরমোনের প্রভাব এমনটা হয়ে থাকে এবং মাসিক শুরু না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করেমিউকাসের ঘনত্ব ও পরিমাণ সর্বোচ্চ লেভেলেপৌঁছানোর চারদিন পর থেকে দৈহিক সম্পর্ক শুরু করা যেতে পারে
ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের উপকারিতা
এ পদ্ধতিতে হরমোন ট্যাবলেট বা কোনো ডিভাইস ব্যবহার করতে হয় নাকোনো কোনো ধর্মে এ জাতীয় জিনিস ব্যবহার করাও নিষিদ্ধতাই তাদের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিংই একমাত্র পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারেতাছাড়া যারা সন্তান নিতে চান তাদেরও নিরাপদ সময় ও ঝুঁকিপূর্ণ সময় সম্পর্কেজ্ঞান থাকা আবশ্যক কেননা একমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ সময়ের দৈহিক সম্পর্ক আপনাকে পিতৃত্ব কিংবা মাতৃত্বের স্বাদ এনে দিতে পারে
ন্যাচারালফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের অসুবিধাঃ
প্রায় ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যর্থ
যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না
এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হলে শিক্ষিত দম্পতি, কখনো কখনো ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে
যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধে অক্ষম


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন


 

ব্রেস্ট ফিডিং ও ফ্যামিলি প্ল্যানিং

সন্তান জন্মদানের পর কিছু হরমোনের প্রভাবে মহিলাদের ডিম্বাণু পরিস্ফুটনের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়ফলে আবার গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে নাযতদিন হরমোনের প্রভাব থাকে ততদিন মা আবার গর্ভধারণের ঝুঁকিমুক্ত থাকেনএকেকজনের ক্ষেত্রে এ প্রভাব একেক দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারেকতদিন আপনি ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন তা নির্ভর করে আপনি কতদিন এবং কতবার আপনার সন্তানকে বুকের দুধ বা ব্রেস্ট ফিড করাচ্ছেনআমেরিকান কলেজঅব গাইনোকলজিস্টের মতে, এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিংয়ের মাধ্যমে ছয় মাস পর্যন্ত গর্ভধারণ বা প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করা যায়
উল্লেখ্য, এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং মানে সন্তানকে জন্মের পর থেকে শুরু করে টানা ছয় মাস পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ানোএ সময় সন্তানকে অন্য কিছু এমনকি এক ফোঁটা পানি খাওয়ানো যাবে নাএ সময় শিশু বুকের দুধের মাধ্যমে তার পানির চাহিদা পূরণ করতে পারে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের মাধ্যমে প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করতে হলে শিশুকে চার ঘণ্টা অন্তর দিনের বেলা এবং ছয় ঘণ্টা অন্তর রাতের বেলা বুকের দুধ খাওয়াতে হবেতবে বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্য খাবার বা টিনের দুধ খাওয়াতে প্রেগন্যান্ট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়সে ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের পাশাপাশি জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনোপদ্ধতি ব্যবহার করতে হবেএছাড়া প্রেগন্যান্সির পর মাসিকশুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নিয়ন্ত্রণের অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে
সঠিক নিয়মে ব্রেস্ট ফিডিং করালে প্রায় ৯৮ ভাগক্ষেত্রে সন্তান প্রসবেরছয় মাস পর্যন্ত প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করা সম্ভবতবে ঘনঘন বুকের দুধ না খাওয়াতে এ পদ্ধতি খুব একটা কার্যকর হবে না


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন



জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটিপদ্ধতি বহু বছর আগে থেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পিল ব্যবহৃত হয়ে আসছেতবে ওজন বৃদ্ধি, ব্রেস্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অনেকে পিল খেতে ভয় পানআশার কথা হলো, বর্তমানে ব্যবহৃত পিলে এসব সমস্যা হয় না বললেই চলে
পিল খাবারের পদ্ধতিটি মোটামুটি সবাই জানেএক পাতাতে সাধারণত ৩০টি পিল থাকেএর মধ্যে প্রথম ২১টিতে থাকে ইস্ট্রোজেনও প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন এবং বাকি ৭টিতে কোনো হরমোন থাকে না, থাকে আয়রনপিল ডিম্বাণুর পরিস্ফুটনে বাধা দেয়ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না
পিলের সুবিধাসমূহ
*. জন্মনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পিলের নানা সুবিধা রয়েছেযেমন­
অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিতকরণে
*. বাড়তি পিল গ্রহণের মাধ্যমে আপনি পিরিয়ডবিহীন ছুটি কাটাতে পারেন অথবা রমজান মাসে টানা একমাস রোজা রাখতে পারেন
*. তলপেটের প্রদাহ, ব্রেস্টের কিছু রোগ, সিস্ট ইত্যাদি পিল গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়
*. ডম্বাশয় ও ইউটেরাসের বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধে পিল সহায়তাপ্রদান করে
পিলের অসুবিধা
*. বমি বমি ভাব
*. মাথাব্যথা
*. ব্রেস্টে ব্যথা
*. ওজন বৃদ্ধি
*. পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া
*. পিরিয়ডবিহীন ব্লিডিং
*. বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন
*. টেনশন
*. সেক্সুয়াল আগ্রহ কমে যাওয়া
*. প্রতিদিন একই সময় খেতে হয়
বিশেষ কিছু ঝুঁকি
যেসব মহিলার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, যাদের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন আছে এবং যারা কিছুটা স্থুলকায়, তাদের ক্ষেত্রে খাবার পিল স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে
প্রমাণিত না হলেও ধারণা করা হয়, ব্রেস্ট ক্যান্সার কিংবা জরায়ু মুখের ক্যান্সার সৃষ্টিতে পিলের পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে
মিনি পিল
পিলে শুধু প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন ব্যবহার করা হয়যেসব মা শিশুকে বুকের দুধখাওয়াচ্ছেন তারা মিনি পিল ব্যবহার করতে পারেনএছাড়াও যারা ইস্ট্রোজেনসমৃদ্ধ পিল খেতে পারেন না, তারাও মিনি পিল খেতে পারেন
পিল খেতে ভুলে গেলে কী করবেন
একটি বা দুটি পিল খেতে ভুলে গেলে মনে পড়ার সঙ্গেসঙ্গে একটি পিল খাবেনএকই সঙ্গে সেদিনের নিয়মিত পিল যথাসময়ে খাবেনপরপর তিনদিন ভুলে গেলে জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্য কোনো পদ্ধতি যেমন­কনডম ব্যবহার করবেনএবং পিরিয়ড না হওয়া পর্যন্ত বাকি পিল খেয়ে যাবেন


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন


জন্মনিয়ন্ত্রণ প্যাঁচ

জন্মনিয়ন্ত্রণ প্যাঁচ আমেরিকায় নতুন হলেও বেশ ব্যবহৃত হচ্ছেবাণিজ্যিকভাবে এটা অর্থোইভরা নামে পরিচিতপ্রতি প্যাঁচে ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন থাকে, যা সপ্তাহজুড়ে ত্বকের অভ্যন্তরে রিলিজ হয়উল্লেখ্য, প্যাঁচটি ত্বকে স্থাপন করতে হয়এটার বড় সুবিধা হলো পিলের মতো এটা প্রতিদিন খেতে হয় নাএর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পিলের মতোতবে গোসলের সময় এটা খুলে যাওয়ার ভয় থাকে
ভ্যাজাইনাল রিং
ভ্যাজাইনাল রিং বা ঘৎংথ ড়মষব যোনিপথে স্থাপন করতে হয়জন্ম নিয়ন্ত্রণের এটাই একটা নতুন পদ্ধতি রিং প্রজনন অঙ্গে ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন হরমোন রিলিজ করেফলে কেউ প্রেগন্যান্ট হতে পারে নাজন্মনিয়ন্ত্রণের পিলের মতোই এটা প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয়টানা তিন সপ্তাহ ব্যবহারের পর এক সপ্তাহ না করলে স্বাভাবিক নিয়মে পিরিয়ড হয়
ইমপ্ল্যান্ট
নরপ্ল্যান্ট নামে এটা ব্যাপকভাবে পরিচিতবহু বছর ধরে এটা ব্যবহৃত হলেও২০০৩ সাল থেকে কোম্পানি এটা বাজারজাত না করার সিদ্ধান্ত নেয়
ক্ষেত্রে ম্যাচের কাঠির সমান সাইজের ছয়টি সিলিকন টিউব মহিলাদের বাহুর চামড়ার নিচে স্থাপন করা হয়স্থাপনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটা কাজ শুরু করে এবং টানা পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করেএটা খুবই কার্যকর একটা পদ্ধতি এবং ৯৯.৮ ভাগ ক্ষেত্রে সফল
উপকারিতা
*. দীর্ঘদিন ধরে এটা প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করে
*. স্কিন থেকে বের করে আনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রেগন্যান্সি ফিরে আসে
*. নরপ্ল্যান্ট ব্যবহারেরসমস্যাগুলো
*. ছোট একটা অপারেশনের মাধ্যমে এটা স্থাপন করতে হয়
*. স্থাপনের পর বের করে আনা কিছুটা কষ্টসাপেক্ষ
*. এটা ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিরিয়ড অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে
*. এছাড়া ওজন বৃদ্ধি, মাথাব্যথা, মুখে লোম গজানো, ব্রণ, নিপল থেকে দুধ বের হতে পারে
কারা নরপ্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারবেন না
যেসব মহিলা ধূমপান করেন, যাদের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের রোগ, মাইগ্রেন, বিষণ্নতা, হাইকোলেস্টেরল, তীব্র ব্রণ ইত্যাদি আছে তাদের ক্ষেত্রে নরপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা হয় না
নরপ্ল্যান্টের পরিবর্তে বর্তমানে ইউরোপের বাজারে ইমপ্লানোন নামক এক টিউববিশিষ্ট এক ধরনের ইমপ্ল্যান্ট পাওয়া যাচ্ছেএটা টানা তিন বছরজন্মনিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন



জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন

ইনজেকশনে এক ধরনের সিনথেটিক হরমোন ব্যবহারকরা হয়বাণিজিক্যভাবে এটা ডিপো-প্রোভেরা নামে পরিচিতএকবার ইনজেকশন নিলে তিন মাস পর্যন্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়
ইনজেকশনের সুবিধা
*. খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি
*. পিলের মতো এর ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
*. ইউটেরাস ও ওভারির ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক
*. অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিতকরে
ইনজেকশনের অসুবিধা
*. প্রথম বছরে কিছু মহিলার পিরিয়ড নাও হতে পারে
*. ইনজেকশন বন্ধ করার পরও গর্ভধারণের জন্য কমপক্ষে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়
*. এছাড়া ওজন বৃদ্ধি, ডিপ্রেশন ইত্যাদি হতে পারে
বর্তমানে বাজারে খৎষপললপনামক এক ধরনের ইনজেকশন পাওয়া যাচ্ছেএ ইনজেকশনে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন ব্যবহৃত হয়এটা প্রতি মাসে ব্যবহার করতে হয়এরবড় সুবিধা হলো ইনজেকশন বন্ধ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আপনি কনসিভ করতে পারবেন

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন



জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ

অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কহলে জরুরি ভিত্তিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়কনডম ছিঁড়ে গেলে প্রস্তুতিবিহীন শারীরিক সম্পর্ক হলে অনেকে বিচলিত হয়ে পড়েন
ইমার্জেন্সি পিলে নরমাল পিলের মতো হরমোন থাকেতবে এতে হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকেদুর্ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ডোজ ট্যাবলেট খেতে হয়প্রথম ডোজ খাওয়ার ১২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ডোজ খাওয়াতে হয়
কপার-টি ৩৮০ ডিভাইস ইউটেরাসে ব্যবহার করেও ইমার্জেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায় পিলের থেকে এটা অধিক কার্যকর এবং দুর্ঘটনার সাতদিনের মধ্যে এটা ব্যবহার করতে হয়উল্লেখ্য, ইমার্জেন্সি পিলের সফলতার হার ৫৫-৯৪ এবং কপার-টি ৩৮০-এর ক্ষেত্রে তা ৯৯ ভাগযারাইতিমধ্যে কনসিভ করে ফেলেছেন তাদের ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি এসব পদ্ধতি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন


জন্মনিয়ন্ত্রণের ভবিষ্যৎ পদ্ধতি

জন্মনিয়ন্ত্রণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত এবং শতভাগ কার্যকর একটাপদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা দীর্ঘদিনেরতাছাড়া এ পর্যন্ত জন্ম নিয়ন্ত্রণের যত পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তার সবকিছুই মহিলাকেন্দ্রিকতাই খুবশিগগিরই বাজারে আসছে জন্মনিয়ন্ত্রণের বেশকিছু নতুন পদ্ধতি
পুরুষের জন্য পিল
গসিপল নামক এ পিল খুব শিগগিরই বাজারে আসছেএ পিলে স্টেরয়েড হরমোন থাকে, যা শুক্রাণুর ডেভেলপমেন্ট হতে দেয়া না
পুরুষের জন্য ইনজেকশন
এটা তিন মাস অন্তর ব্যবহার করতে হয়পুরুষদের যৌনাকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেয় বলে এটা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে
ইমপ্ল্যান্ট
ইমপ্ল্যানোন নামক নতুন এ ইমপ্ল্যান্ট চার সেন্টিমিটার লম্বা এবং মাত্র দুই মিলিমিটার প্রশস্তএটাতে খুবই কার্যকর হরমোন থাকে এবং টানা তিন বছর প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করেএটা ব্যবহার করার জন্য এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি
ক্যাপনোর নামক নতুন একটি ইমপ্ল্যান্ট খুব শিগগিরই বাজারে আসছেএর বিশেষত্ব হলো এটা দেহের অভ্যন্তরে মিশে (নমঢ়ঢ়সলংপ) হয়ে যায়ফলে স্কিনের নিচে একবার স্থাপন করলে আর বের করে আনতে হয় না
ডায়াফ্রাম
এটাতে একমুখী ভালব থাকেফলে জরায়ুর বিভিন্ন সিক্রেশন বের হয়ে আসতে পারলেও দৈহিক সম্পর্কের পর কোনো বীর্য এ পথে যেতে পারে না
লাইগেশন কিংবা ভ্যাসেকটমির নতুন পদ্ধতি
অপারেশন ছাড়া কীভাবে লাইগেশন করা যায় সে ব্যাপারে ব্যাপক গবেষণা চলছেএক ধরনের কেমিক্যাল প্ল্যাগ ব্যবহার করে জরায়ু টিউব বন্ধ করার চিন্তা-ভাবনা চলছে পদ্ধতি কার্যকর হরে ভ্যাসেকটমিও কেমিক্যালের সাহায্যে করা সম্ভব হবে
স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে জন্ম বৃদ্ধিরহার ২.৪১ ভাগএভাবে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৯ বছরের মধ্যে এসবদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবেএ অবস্থায় পরিবার পরিকল্পনাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য না দিলে যে মরিবার পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হবেবছর বছর সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে আপনি আপনার ক্ষমতা বা পাওয়ার অন্যকে দেখাতেই পারেনতবে এটা জানেন তো, পাওয়ার ইজ নাথিং উইদাউট কন্ট্রোল


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন



জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ীপদ্ধতি

যাদের ফ্যামিলি কমপ্লিট এবং যারা আর সন্তান নিতে চান না কেবল তারাই স্থায়ীপদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেনপুরুষ-মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে স্থায়ী পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়
মহিলাদের বন্ধ্যত্বকরণ
এটাকে লাইগেন বলা হয় এ ক্ষেত্রে খুবই ছোট একটা অপারেশনের মাধ্যমে ইউটেরাসের টিউব বন্ধ করে দেয়া হয়জরায়ু নালি বন্ধকরায় শুক্রাণু ডিম্বাণুরসঙ্গে মিলিত হতে পারে নাফলে গর্ভধারণের কোনো সম্ভাবনা থাকে না
এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হরমোনাল পদ্ধতির মতো এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেইতবে ডিভোর্স, সন্তানের মৃত্যু ইত্যাদিনানা কারণে অনেকে আবার গর্ভধারণের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেনসে ক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে আবার জরায়ুর নালিপথ সচল করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়
ইমপ্ল্যান্ট­মহিলাঃ
বন্ধ্যত্বকরণের নতুন পদ্ধতিঃ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মহিলাদের বন্ধ্যত্বকরণে নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে পদ্ধতিতে ছোট একটা মেটালিক ইমপ্ল্যান্ট জরায়ু নালিতে স্থাপন করা হয় অভিজ্ঞ চিকিৎসক ক্যাথেটারের সাহায্যে এ ইমপ্ল্যান্ট যোনিপথ দিয়ে উভয় জরায়ু নালিতে বসিয়ে দেনইমপ্ল্যান্ট জরায়ু নালিকে ব্লক করেফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনাথাকে নাতবে এ ইমপ্ল্যান্ট স্থাপনের তিন মাস পর্যন্ত অন্য কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হয়তিন মাস পর বিশেষ পদ্ধতিতে এক্স-রে করে দেখা হয়, ইমপ্ল্যান্ট সঠিক স্থানে এবং কার্যকর অবস্থানে আছে কি না
পুরুষ বন্ধ্যত্বকরণঃ
পুরুষ বন্ধ্যত্বকরণ বা ভ্যাসেকটমি খুবই সহজ ও কার্যকর একটি পদ্ধতিএটা জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি স্থায়ী পদ্ধতিএ ক্ষেত্রে শুক্রনালি পথ বন্ধ করে দেয়া হয়শুক্রাশয়ের এক পাশে ছোট একটি জায়গা অবশ করে শুক্রনালি পথ কেটে দুই প্রান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়অপারেশনের পরপর আপনি বাড়ি চলে যেতে পারবেন অপারেশনের পর ঝুঁকিমুক্তহতে কমপক্ষে ২০ বার বীর্যপাত হওয়া প্রয়োজন
পদ্ধতি শতভাগ কার্যকরখুব দ্রুত ও ঝুঁকিমুক্ত উপায়ে এটা সম্পন্ন করা হয় তবে অপারেশনের পর কেউকেউ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেনসে ক্ষেত্রে বিপত্তি দেখা দিতে পারেতাই ভ্যাসেকটমি করার আগে পূর্ণ সম্মতি নেয়া


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন



জন্ম নিয়ন্ত্রণ

সমস্যা : আমার বয়স ২০ বছরবিবাহিতদুই মাস আগে আমার বিয়ে হয়েছেআমরা দুজনই সন্তান নিতে চাই না এখনতাই আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি ডাক্তার বলেছেন, প্রথম প্রথম পিল খেলে নাকি পরবর্তীতে সন্তান নিতে অসুবিধা হয়এটা কি সত্যিআমার ঋতুস্রাব নিয়মিত হয়তাই আমি প্রাকৃতিক নিয়েমের ব্যাপারটি বুঝতে চাই
সুমি, মধ্য বাসাবো, ঢাকা
সমাধান : আপনারা বুদ্ধিমান প্রথমেই পরামর্শ চেয়েছেনপিল খাওয়া যদিও খুব একটা ভাল না, তবুও নতুন বিবাহিতদেরজন্য পিল বা কনডম ব্যবহারকরাই ভালমাসিকের প্রাকৃতিক নিয়ম তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়কারণ এতে সহজেই গর্ভধারণ হতে পারে এবং যার পরিণাম এমআরহবেএম আর করার চাইতে প্রথম প্রথম দুই মাস পিল ও এক মাস কনডম-এইভাবে এক বছর পার করতে পারলে ভাল হয়
পরামর্শ দিয়েছেন-
ডা. রওশন আরা খানম
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ
ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক,

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন

 

2 comments:

  1. Sir,আমার স্ত্রী সুবিডা পিল খাচ্ছে..আমরা এই পিল খাওয়ার কতদিন পর sex করতে পারি..আর যদি ভিতরে ফেলে দি তবে কি কোনো সমস্যা হবে..

    ReplyDelete
  2. Sir,আমার স্ত্রী সুবিডা পিল খাচ্ছে..আমরা এই পিল খাওয়ার কতদিন পর sex করতে পারি..আর যদি ভিতরে ফেলে দি তবে কি কোনো সমস্যা হবে..

    ReplyDelete